Lakshmi Bhandar Scheme-Bengali descriptive paper writing
নমস্কার বন্ধুরা ,
আজ আমরা শেয়ার করতে চলেছি Descriptive General Studies যা তোমাদের wbp police s.i,wbpsc, wbMiscellaneous, ssc Graduate level সহ চাকরির পরীক্ষায় সাহায্য করবে বলে আমরা আশা রাখি | এছাড়া তোমরা জানো যে Descriptive General knowledge সমস্ত কম্পিটিটিভ চাকরির পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এই বিষয়ে তোমরা যদি জ্ঞান ভালো থাকে তাহলে তোমরা মোটামুটি সমস্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে পারবে| আজ আমরা Indian National issue এর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আজকের বিষয়টি হলো -Lakshmi Bhandar Scheme
Lakshmi Bhandar Scheme |
Question: Write what you know about Lakshmi Bhandar Scheme of the West Bengal Government?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প
রাজ্য সরকার রাজ্যের গৃহস্ত মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার নামক প্রকল্প (WB Lakshmir Bhandar Scheme) চালু করেছে।
গত ১৬ আগস্ট, ২০২১ থেকে দুয়ারে সরকার- ২ প্রকল্প আয়োযিত হয় রাজ্য জুড়ে। আর এই সময়েই “লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের” আবেদনপত্র গ্রহন করা হয়।
রূপায়নকারীঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু বিকাশ ও সমাজকল্যাণ দপ্তর।
উদ্দেশ্যঃ পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মী ভাণ্ডার যোজনা ২০২১ -এর মূল উদ্দেশ্য হল পরিবারের মহিলা প্রধানদের মৌলিক আয়ের সহায়তা প্রদান করা। এই স্কিমে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের অর্থায়ন করতে পারবেন। এই প্রকল্প তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে। রাজ্যের গ্রামীণ ও শহুরে অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে। প্রকল্পের প্রাপকঃ ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
প্রথমদিকে একটি শর্ত ছিল: যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড রয়েছে, তাঁরাই মূলত লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য বিবেচিত হবেন। আবেদনপত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর লিখতে হতো। পরবর্তীতে এই বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়।
আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। প্রকল্পের সুবিধাঃ তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা অনুদান।
সাধারণ তালিকাভুক্ত মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করছে রাজ্য সরকার।
কবে থেকে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছেঃ
১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেছেন রাজ্যের মহিলারা। আবেদনের পদ্ধতিঃ
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই বিনামূল্যে ফর্ম প্রদান করা হয়। ফর্ম ফিলআপ করে সেই ক্যাম্পেই জমা দিতে হয়। আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর তার রশিদ প্রদান করা হয়।
প্রয়োজনীয় নথিসমূহ:
ফর্মের সব চেয়ে উপরে রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি নির্দিষ্ট বক্সে লাগাতে হবে।
ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপি দিতে হবে। কারণ এর মাধ্যমেই টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাঙ্ক ডিটেইলস পাওয়া যাবে , রেশন কার্ড জেরক্স কপি।
আধার, ভোটারতপশিলি জাতি উপজাতি তালিকাভুক্ত হলে শংসাপত্রের জেরক্স কপি। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন নাঃ কেউ স্থায়ী সরকারি চাকরি করলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন না। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও আবেদন করতে পারবেন না। কেউ সরকার থেকে কোনওরকম ভাতা পেলেও আবেদন করার সুযোগ পাবেন না। সরকারি এবং সরকার অধীনস্থ সংস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা আবেদন করতে পারবেন না।
পরিশেষে বলা যায়, সরকারের এই কল্পতরু ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। বাংলার নারীদের আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল করার এই সরকারি প্রয়াস, ইতিমধ্যেই গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। বাংলার মা-বোনেদের এই প্রকল্প থেকে যথার্থই যে লক্ষ্মী লাভ হতে চলেছে তা নিয়ে কোনও দ্বিরুক্তি নেই। এই কর্মসূচীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইউনিসেফ থেকে বিশ্বব্যাংক। নারীর আর্থিক ক্ষমতায়নে এ এক অভিনব উদ্যোগ।